নিজের অপকর্ম ঢাকতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্বামীকে হয়রানি করছেন পপি রানী মোদক নামের এক নারী। এমন অভিযোগ করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার লামা দুমকা ডৌবাড়ি গ্রামের নিপেন্দ্র লাল দাসের ছেলে সুসু কুমার দাস উরফে যিশু (৩৫)।
গত মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী পপি রানী মোদক আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। মোদকের ইশারায় তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসবাহিনী আমার উপর যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি।’
যিশু পেশায় একজন মাইক্রোবাস চালক। তিনি বর্তমানে নগরের হাতিমবাগ আবাসিক এলাকায় বসবাস করছেন।
তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে এয়ারপোর্ট থানার সাহেবের বাজার এলাকার ৩ নম্বর খাদিমপাড়া ইউনিয়নের উমদারপাড়া গ্রামের নিপেন্দ্র মোদকের মেয়ে পপি রানী মোদকের সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে আমাদের সংসারে আসে এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়। সংসার জীবন সুখেই কাটছিল। কিন্তু মাইক্রোবাস নিয়ে সপ্তাহের বেশিরভাগ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার সুবাদে স্ত্রী স্যোশাল মিডিয়া ফেসবুক ও টিকটকে আসক্ত হয়ে ড়েন। এর সুযোগে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েন পপি।
যিশু লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘স্ত্রী তার পিতার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সুবাদে উমদারপাড়ার সামছুর রহমানের পুত্র আমিনুর রহমানের সঙ্গে অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। দুজনের সম্পর্ক টের পেয়ে স্ত্রী পপি রানী মোদককে মৌখিকভাবে নিষেধ করি। অবৈধ সম্পর্ক ছাড়ার জন্য বলা সত্ত্বেও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। নিষেধের পর সে প্রকাশ্যে সম্পর্ক চালাতে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন চলার পর আমিনুর রহমানের সঙ্গে পপি রানী মোদকের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায় এবং পপি রানী মোদক আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করায় সিলেটের ডিজিটাল ট্রাইবুন্যাল আদালতে আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।’
যিশু বলেন,‘এ অবস্থায় সংসার জীবন সুন্দরভাবে চালানোর জন্য চেষ্টা করি। তখন পপি আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আমার অনুপস্থিতে বাসার ভেতরে থাকা মূল্যবান জিনিষপত্র, টাকা পয়সা ও মেয়েকে নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যান। এ অবস্থায় আমি শাহপরান থানায় সাধারণ ডায়রি করেছি।’
কিন্তু পরবর্তীতে আমাকে আসামি করে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট তৃতীয় আদালতে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী পপি রানী। মামলাটি বর্তমানে তদন্তনাধীন রয়েছে। মামলাটি মিথ্যা ও সাজানো দাবি করে সুসু কুমার দাস উরফে যিশু সঠিক তদন্ত ও ন্যায় বিচারের জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ উর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সর্বস্বত্ব SylhetLive24.Com কর্তৃক সংরক্ষিত ।