সিলেট লাইভ ডেস্ক :: সিলেটে শীর্ষ ছিনতাইকারী লিমনসহ তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাদক বিক্রির টাকার ভাগবাটোয়ারার বিরোধের জের ধরে সুমন নামের তাদের সহযোগীকে অপহরণ করে রিভলবার ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটকা পরে শীর্ষ ছিনতাইকারী লিমনসহ তার তিন সহযোগী।
আটককৃতরা হল- দক্ষিণ সুরমার জৈনপুরের সানর মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম লিমন, মোমিনখলার আনছার আলীর ছেলে রুবেল আহমদ ও সিলাম খালোপাড়ের আজিজুর রহমানের ছেলে মোবারক হোসেন তুহিন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তুহিনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়- তুহিন ও কামরুলের সাথে ইয়াবা কেনাবেচার টাকার লেনদেন নিয়ে সুমন নামের এক ব্যক্তির বিরোধ চলছিল। সুমন টাকা দিতে সময়ক্ষেপণ করায় ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে সুমনকে লিমনের প্রাইভেটকারে তুলে অপহরণ করে তুহিনের বাসায় এনে আটকে রাখা হয়। পরে রিভলবার ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য গত শনিবার রাতে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে লিমনের দেওয়া তথ্যমতে একটি শপিংব্যাগ ভর্তি গুলিসহ একটি রিভলবার ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তুহিন ও লিমনের কথাবার্তায় সন্দেহ দেখা দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ তাদের সবাইকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তারা পুলিশের কাছে সুমনকে ফাঁসানের চেষ্টার কথা স্বীকার করে। এসময় পুলিশ রুবেল আহমদ নামের তাদের আরেক সহযোগীকে আটক করে।
থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গ্রেফতার তুহিন জানায় সুমন মিয়ার সাথে কামরুল ইসলাম লিমন এবং তার মাদকের (ইয়াবা) কেনা বেচার টাকা নিয়ে লেনদেন রয়েছে।
জানা গেছে, লিমন গত শুক্রবার (১৪ মে) দুপুরে দক্ষিন সুরমা থানাধীন সিলভার ভিলেজ এলাকা থেকে সুমন মিয়াকে আটক করে। এসময় লিমন তাদের প্রাইভেটকারের ভিতরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় থাকা সুমন মিয়াকে ফাঁসানোর জন্য আনা অস্ত্র ও ইয়াবা বাজারের কাপড়ের ব্যাগের ভেতর ঢুকিয়ে মোবারক হোসেন তুহিনকে দেয়। তুহিন পুলিশকে সংবাদ দেয় এবং পুলিশ সেখানে গেলে কামরুল ইসলাম লিমনের দেওয়া বর্ণিত ব্যাগে ভর্তি গুলিসহ রিভলবার ও ইয়াবা ট্যাবলেট পুলিশের নিকট উপস্থাপন করে।
এ ঘটনায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। অপহরণ কাজে ব্যবহৃত ছিনতাইকারী লিমনের প্রাইভেট কারও জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে মোগলাবাজার থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোগলাবাজার থানার ওসি শামসুদ্দোহা। তিনি বলেন, সুমন মিয়া নামের এক যুবককে অপহরণ করে তাকে অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছিলো গ্রেফতারকৃতরা। পরে পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পেরে গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা পুলিশকেন জানায় ইয়াবা বিক্রির টাকা পাওনা থাকায় তারা সুমন মিয়াকে ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর জন্য পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, আটককৃত তিন জনকে রবিবার আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সর্বস্বত্ব SylhetLive24.Com কর্তৃক সংরক্ষিত ।