নিজস্ব প্রতিবেদক :: নগরীতে মানুষের চলাচলে এসএমপি’র ‘বেম্বো থিওরি’ পরিকল্পনা কোনো কাজে আসছে না। রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সিলেটে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে গত সোমবার (১৯ এপ্রিল) নগরীর ৬টি প্রবেশমুখসহ ১৪টি পয়েন্টে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। মানতে নাড়াজ সিলেটের মানুষ! মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) নগরীতে লকডাউনের বাঁশ সরিয়ে যানবাহন চলের চিত্রও দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লকডাউন কার্যকরে বাঁশের ব্যারিকেড দিলেও কমেনি যানবাহন ও মানুষের চলাচল। বিশেষ করে বিকেলের দিকে হাটবাজারে মানুষকে ভীড় করতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই টিসিবি’র পণ্য কিনতেও ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন লোকজন। কোথাও ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা কমেনি। প্রধানসড়কগুলো চেয়ে অলিগলিতে লোকজন ভীড় করছেন বেশি।
নগরীর দক্ষিণ সুরমার হুমায়ন রশিদ চত্বরে বাঁশের ব্যারিকেডে থাকলেও পুলিশ নেই। যে কারণে বাঁশ সরিয়ে যানবাহন অবাধে চলাচল করছে। তবে নগরীর অভ্যন্তরে বন্দরবাজার, ক্বীন ব্রিজের মুখ, আম্বরখানা, চৌহাট্টা, লামাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বাঁশ ফেলে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। এসব পয়েন্টে পুলিশের কড়া অবস্থানও ছিল লক্ষ্যনীয়। অবশ্য মুভমেন্ট পাস ব্যতীত বের হওয়াদের এসব ব্যারিকেডে আটকে দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনে সিলেটের রাস্তায় হকারদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্য করার মতো। অনেকেই এসব ভাসমান দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসষপত্র ক্রয় করছেন।
এ বিষয়ে সিলেট মহাগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়। বাঁশের ব্যারিকেট (বেম্বো থিওরি) দিয়ে চৌকি বসিয়ে যানবাহন ও লোকজন নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে লকডাউন মানাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রণের দিকেও মনোযোগী হতে পারছে। তবে ব্যারিকেড উঠিয়ে গাড়ি চলাচলের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে সেখানে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের কারণ দর্শাতে হবে।
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সর্বস্বত্ব SylhetLive24.Com কর্তৃক সংরক্ষিত ।