পরীক্ষাকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ও ভাংচুরের ঘটনায় ১ বছরের জন্য বার কাউন্সিল পরীক্ষায় নিষিদ্ধ হয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বর্তমান উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণ। এই আন্দোলনের মূল কারিগর ছিলেন স্মরণ।
বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ও ভাংচুরের ঘটনায় বার কাউন্সিল থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে জবাব চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়। তাদের দাখিলকৃত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটি গত ২৯ জুন সিসিক কাউন্সিলর তারেক ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা স্মরণসহ ৪২ জনকে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় নিষিদ্ধ করা হয়।
বার কাউন্সিল থেকে প্রকাশিত বিবিসি/এনরোল/২০২১/১৪০০ নং স্বারকে নিষিদ্ধ তালিকায় ২৪ নম্বরে ফজলে রাব্বির স্মরণ ( রোল নাম্বর-৪৪০০৪) ও ২৮ নম্বরে তারেক উদ্দিন তাজ (রোল নম্বর-৫১২০৬) নাম রয়েছে।
জানা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে অরাজকতা সৃষ্টির দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ। পুলিশ বাদী হয়ে তারেকসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় মামলা দায়ের করে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর। এই মামলায় বেশ কয়েকদিন জেলখেটে জামিনে বের হন তারেক। তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি।
এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বর্তমান উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্মরণের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও ওই সময়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। কয়েকমাস লাপাত্তা ছিলেন তিনি।
ফজলে রাব্বি স্মরণের বিরুদ্ধে পুলিশের কর্তব্যে বাধা প্রদান, মারধর, ভাঙচুর, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বাধা প্রদানের অভিযোগ ছিলো। আন্দোলনের নেপথ্যে থাকা চৌকস স্মরণ অন্যদের কাজে লাগিয়ে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং তিনি ৪ ঘন্টা লিখিত পরীক্ষা দেন।
সূত্র জানায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট লিখিত পরীক্ষা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ৫ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে সংগঠিত বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ও কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীদের বরাবরে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছিল এবং পরীক্ষার্থীগণ নোটিশের জবাব দাখিল করেছিলেন। জবাব ও তাহাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটি এ বছরের ২৮ জুন অনুষ্ঠিত সভায় পর্যালোচনা করে। দাখিলকৃত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে বার কাউন্সিলের পরবর্তী একটি এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় (এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যাহার জন্য যে পরীক্ষা প্রযোজ্য) অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সচিব রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদেরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সর্বস্বত্ব SylhetLive24.Com কর্তৃক সংরক্ষিত ।