জৈন্তাপুর উপজেলায় পরিবেশের ক্ষতি করে পাহাড় ও টিলা কর্তন করে পাথর উত্তোলনের দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে ১১টি মেশিন ধ্বংস করে। এছাড়াও টিলার পাথর ক্রয়ের জন্য ২টি ষ্টোন ক্রাশার মিল গুলোতে অভিযান পরিচালনা করে ২জন আটক এবং ১লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পরে আটককৃতদের মুক্তিদেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (২৩ জুন) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জৈন্তাপুর উপজেলার আলুবাগান, মোকামপুঞ্জি সুপারী জুম হতে পাথর উত্তোলন এবং ৪নং বাংলাবাজার ক্রাশার মিল অবৈধ পাথর রাখার দায়ে অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক এমরান হোসেনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ টিম ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯ সদস্যরা।
সংবাদ মাধ্যমে জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর (হরিপুর), চারিকাটা, নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের টিলা ও পাহাড় কর্তন করে পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টি করে প্রভাবশালী পাথর ও ভূমি খেকু চক্র নির্বিচারে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে আসছে। কিছু দিন পূর্বে সিলেটে সিরিজ ভূকম্পের উৎপত্তি স্থল হিসাবে জৈন্তাপুর সনাক্ত হয়।
কিন্তু ভুমি কম্পের জোন হিসাবে চিহ্নিত জৈন্তাপুর উপজেলার পরিবেশ ধ্বংসের কবল হতে রক্ষা করতে পাহাড় টিলা কর্তন এবং পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার বার্তা প্রেরণ করে।
গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিত্বে অভিযানে নামে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট। এসময় ১৯৯৫, সংশোধিত ২০১০ ধারা ৬ (গ) লংগনের দায়ে পাহাড় ও টিলা কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নোটিশ প্রদান করার ঘোষনা দেয়। অভিযান পরিচালনা কালে মোকামপুঞ্জি খাসিয়া আধিবাসী নেতা হেনরী লামিন, ভিভেনসন খাসিয়া, বকুল মিয়া, ইউছুফ আলী ও মিম খাসিয়া তাদের বাহিনী নিয়ে নিকটবর্তী জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এসময় সুপারী জুমে খনন করে পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৫টি শ্যালে মেশিন, ২টি পাম্প মেশিন পুড়ে ফেলা হয়। অপরদিকে ৪নং বাংলাবাজার স্কুলের পিছনে নদীর ধারে অভিযান পরিচালনা করে আরও পাথর ভাঙ্গার ৪টি মিনি টমটম মেশিন ধ্বংস করা হয়। সুপারী জুম, পাহাড় টিলা, নদীর পাড় খনন কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে নোটিশ করা হবে অভিযানিক দল জানায়। নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানানো হয়। অপরদিকে ৪নং বাংলা বাজার এলাকার মিনি ষ্টোন ক্রাশারে পাথর মজুদ রাখার দায়ে ২জনকে আটক করা হয়।
পরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা হারে মোট ১লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক এমরান হোসেন জানান, আমাদের অভিযান অব্যাহৃত থাকবে এবং পাহাড় কর্তনে জড়ীতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সর্বস্বত্ব SylhetLive24.Com কর্তৃক সংরক্ষিত ।