সিলেট লাইভ ডেস্ক
সিলেটে মামলার জের ধরে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযগ উঠেছে। অপহরণকারিরা ব্যবসায়ীকে অপহরণ করতে না পেরে তার কাছে থাকা লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। বুধবার (২মে) সন্ধ্যায় নগরের চৌকিদেখী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এসএমপি’র এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ- এসএমপি’র এয়ারপোর্ট থানার সাহেব বাজার এলাকাধীন ধোপাগুলের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের সাথে নগরের চৌকিদেখী রংধনু- ১০২-এর কামরুল হাসান জুয়েলের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে কামরুল ও তার সহযোগীরা গত ২৩ এপ্রিল নাসিরদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ ঘটনায় নাসির উদ্দিন গত ২৪ এপ্রিল এয়ারপোর্ট ধানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় জামিন নিয়ে কামরুল ও তার সহযোগীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা নাসিরকে অপহরণ ও গুম করার চেষ্টা করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ২ মে নাসির উদ্দিনকে ফের অপহরণের চেষ্টা করে কামরুল চক্র।
জানা যায়- ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বুধবার (২মে) তার গাড়ি মেরামতের উদ্দেশ্যে চৌকিদেখীস্থ একটি ওয়ার্কশপে যান। মেরামত শেষে ফেরার পথে চৌকিদেখীস্থ ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীমের অফিসের সামনে পৌঁছামাত্র তিনটি মোটর সাইকেল যোগে আসা কামরুল ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনের প্রাইভেট কারের গতিরোধ করে তাকে অপহরণে চেষ্টা চালায়।
এসময় তারা নাসির উদ্দিন ও তার সঙ্গে থাকা মানিক মিয়া এবং কার চালক বাবুল মিয়াকে মারধর করে এবং নাসির উদ্দিনের সাথে থাকা একলাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের শোর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কামরুল ও তার সহযোগীরা তাদের ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নাসির উদ্দিন এসএমপি’র এয়ারপোর্ট মডেল থানায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি এজাহার দাখিল করেন।
এজাহারভুক্তরা হচ্ছে এয়ারপোর্ট থানাধীন চৌকিদেখী রংধনু ১০২ এর মুক্তা মিয়ার ছেলে কামরুল হাসান জুয়েল এবং তার ভাই সোহেল ও রাসেল। একই থানার সাহেব বাজার এলাকাধীন ধোপাগুলের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে রুমেল ও ইব্রাহিম এবং মুহিবুর রহমান সোলেমানের ছেলে ফুয়াদ। এজাহার দায়েরের খবর পেয়ে কামরুল ও তার সহযোগীরা পলাতক থেকে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনকে অপহণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সর্বস্বত্ব SylhetLive24.Com কর্তৃক সংরক্ষিত ।