উপশহরের আতঙ্ক ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য ‘দম আটকে দেওয়া’ ভয়ের এক পরিবেশ তৈরি করেছেন তিনি ও তার বাহিনী। ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান-সবকিছুতেই সালেহ সেলিমের খবরদারি। যেমনটি প্রমাণ মিললো রোববার। খবর জানাজানি হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে এমন ভয়ে আহত যুবক ও তার পরিবার সেলিম বাহিনীর ভয়ে রাত দেড়টায় হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে!
কাউন্সিলর সেলিমের সাথে দোকানীর হাতাহাতি, বদলা নিলেন অনুসারীরা! বিষয়টি নিয়ে শহর জুড়ে তোলপাড় চলছে। ঘটনা ২ জানুয়ারী রোববার সন্ধ্যার। ঘটনাস্থল নগরীর উপশহর এলাকার মেইন রোডের এ ব্লকের ৮ নং রোড সংলগ্ন কিসমত কমপ্লেক্সের ফ্যামেলি বাজার নামক দোকানের সামনে। ঘটনার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে সেই দোকান। সেলিম বাহিনীর ভয়ে বিষয়টি নিয়ে কেউই মুখ খুলছেন না। তবে এবিষয় নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যম ঢালাওভাবে প্রচার করছে। তবে কাউন্সিলর সেলিম আতঙ্কে ভয়ে সাজ্জাদের পরিবার চুপ।
এসব বিষয় অস্বীকার করে ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম সোমবার রাতে সিলেট লাইভকে বলেন, এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তাকে নিয়ে একটি চক্র অপ্রপ্রচার করছে।
কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম বিষয়টি অস্বীকার করলেও তার এক সহযোগী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট লাইভ-এর কাছে। সে জানায় বিষয়টি আপোসে মিমাংসা করা হচ্ছে।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, কাউন্সিলর সেলিমের অপর মামলা এড়াতে পরিকল্পিতভাবে সাজ্জাদ ও তার পরিবারকে তাদের গ্রামের বাড়ি জকিগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি জকিগঞ্জে মিমাংসা হবে। নিজেকে মিডিয়া থেকে বাচাঁতে তিনি বান্দরবন বেড়াতে গিয়েছেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন জানান, এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কেউই মুখ খুলবে না। উপশহরের আতঙ্ক ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম ও তার বাহিনী। তিনি জানান, স্থানীয় এবং দৈনিক পত্রিকা গুলোতে পড়লাম কাউন্সিলর সেলিম এই বিষয় অস্বীকার করছেন। তাহলে সাজ্জাদ আহত হল কিভাবে?
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সর্বস্বত্ব SylhetLive24.Com কর্তৃক সংরক্ষিত ।