সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষে কয়েকজন ব্যক্তি ।
গত ৮ জুন লিখিত অভিযোগ দেন অভিভাবক নূরুল ইসলাম, বিলাল আহমদ, মো. হুমাযুন কবিরসহ প্রমুখ।
তারা অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেছেন। এদিকে, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানিয়েছেন।
এম সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে ২০০২ সালে যোগদান করেন নজরুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠান শুরুর পর থেকেই গোপনে নিজস্ব মানুষ দিয়ে কলেজ পরিচালনা কমিটি গঠন, সভা না করেই কখনো কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর সংগ্রহের মাধ্যমে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা। সম্প্রতি এডহক কমিটি থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিয়ে গাড়ি ক্রয়ের জন্যে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন তিনি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব একাউন্টে অধ্যক্ষ নজরুল তাঁর একক স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন ও জমাদন করে আসছেন।
এছাড়াও, কলেজ ভবনে বসবাস করেও তিনি প্রতিমাসে বাসা ভাড়া বাবদ ১৭ হাজার টাকা সুবিধা নিচ্ছেন।
এছাড়াও, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতি বছর ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ মোট ১৬ টি অভিযোগ করা হয়েছে।
অন্য অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিনা রশিদে ভর্তি ফরম থেকে টাকা আদায়, শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি খোলা ও উপবৃত্তি টাকার জন্য বিনা রশিদে টাকা আদায় এবং কলেজ পরিচালনা কমিটি গঠনে অভিভাবকদের অবহিত না করা।
এসব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান- যারা অভিযোগ করেছেন, তাদের বেশিরভাগই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতদের আত্মীয়স্বজন। তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের ১১ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কলেজে ক্লাস চলাকালীন এক বহিরাগত সন্ত্রাসী এসে ইভটিজিং করে এবং কলেজের এক শিক্ষককে লাঞ্চিত করে। এ সময় ছাত্ররা ওই বখাটেকে আটক করে রাখে।
খবর পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে এসে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ওই বখাটেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন। ওইদিন সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফেরার পথে তার উপর সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এ ঘটনায় জড়িত ৪ ছাত্রকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই ৪ ছাত্রসহ মোট ৯ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এই মামলার বিচার কার্যক্রম বর্তমানে চলমান।
অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম আরো বলেন, কলেজের সকল কার্যক্রম নিয়মমাফিক চলছে। ৩ মাস পরপর গভর্নিং বডির মাধ্যমে হিসাব-নিকাশের অডিট করা হয়। বর্তমানে আমাদের কলেজ ফান্ডে ৭২ লাখ টাকা আছে।
© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সর্বস্বত্ব SylhetLive24.Com কর্তৃক সংরক্ষিত ।